হাতিয়া প্রতিনিধি
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় গাছের সাথে বেঁধে যুবদল নেতা সম্রাট আকবরকে পিটিয়েছেন স্থানীয় এক সাবেক ইউপি সদস্য—এমন অভিযোগ উঠেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় সম্রাটকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বিরবিরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন একই গ্রামের মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে এবং তিনি ওই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার। তার বিরুদ্ধে দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতনের নানা অভিযোগ রয়েছে।
আহত সম্রাট আকবর পূর্ব বিরবিরি গ্রামের মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে। তিনি জাহাজমারা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে ইউনিয়ন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে জসিম মেম্বারের বাড়িতে সম্রাটকে গাছের সাথে বেঁধে পেটানো হচ্ছিল। খবর পেয়ে স্বজনরা ও এলাকাবাসী ছুটে এলে জসিমের লোকজন তাদের বাধা দেয়। পরে সম্রাটের স্বজনরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে সহযোগিতা চান। খবর পেয়ে জাহাজমারা পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সম্রাটকে উদ্ধার করে।
আহত সম্রাট অভিযোগ করে বলেন, “জসিমের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। বাড়ি ফেরার পথে জসিমের বাড়ির সামনে দেখা হতেই কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা আমাকে ধরে বাড়ির ভেতরে নিয়ে গিয়ে গাছের সাথে হাত-পা বেঁধে ফেলে। প্রথমে লাঠি দিয়ে, পরে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে বেদম মারধর করে। এতে আমার হাত ভেঙে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তক্ষরণ হয়েছে।”
সম্রাটের মা মরিয়ম নেছা জানান, তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেও জসিমের লোকজন দরজায় বাধা দেয়। ছেলের আর্তনাদ শুনলেও তাকে বাঁচাতে পারেননি। পরে পুলিশ এসে হাসপাতালে ভর্তি করে।
জাহাজমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. খোরশেদ আলম বলেন, “৯৯৯ থেকে কল পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সম্রাটকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করি এবং হাসপাতালে পাঠাই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে জসিম মেম্বারের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে পুলিশ আহত অবস্থায় সম্রাটকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান


