উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় বিএনপির দুইপক্ষের কোন্দলে পাঁচজন আহত হয়েছেন। বুধবার (২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে কালিয়া পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনার সূত্রপাৎ ঘটে পরবর্তীতে কালিয়া কলেজ রোড ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, আহতরা হলেন-কালিয়া পৌর যুবদলের সাবেক আহবায়ক ও কালিয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ইকরাম রেজা (৫০), রানা ফকির (২২), মোজাহিদ শেখ (২৬), কামাল হোসন (৪০) ও স্বপন দাশ (৫৫)। তাদের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে মোজাহিদ শেখকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জানান, আগামি ১৯ অক্টোবর নড়াইলের চারটি থানা ও তিনটি পৌর বিএনপির সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর পদপ্রত্যাশায় তোড়জোড় শুরু করেন থানা ও পৌর বিএনপির নেতারা।
এরই ধারাবাহিকতায় কালিয়া থানা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী সরদার আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান মিলু, গোলাম কিবরিয়া মিঠু এবং পৌর বিএনপির সভাপতি প্রার্থী, শেখ সেলিম, শেখ রবিউল ইসলাম মনিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনা সেলিম রেজা ইউসুফের সমর্থকরা একে অপরের অপরের প্রতি ক্ষিপ্ত হয় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এরপর গত বুধবার (২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালিয়া পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকরাম রেজাসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে করে প্রতিপক্ষরা। পরে সকল পক্ষের মধ্যে এলো উত্তেজনা জড়িয়ে পড়ে।
ওই ঘটনায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে দেশিয় অস্ত্রসহ চারজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো-বেন্দারচরে সুমন শেখ (২৩), নাহিদ শেখ (১৯), ওয়ালিদ শেখ (২৭) ও জাকারিয়া (৩৫)। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনাক্যাম্পে প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। কোন পক্ষেই মামলা দায়ের করে নাই, জেলা বি,এন,পি’র সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম দলের সকল ত্যাগী নেতাকর্মীদের শান্ত থেকে এলাকায় ও দলের ভিতর কোন্দল ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কারিদের প্রতি কঠোর নজর দারি করতে অনুরোধ জানান