স্টাফ রিপোর্টার
ফরিদপুরে চাঞ্চল্যকর আপহরণ ও ধর্ষণ মামলা যাবত জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রধান আসামী কামরুজ্জামান রাজিব (২৮) দীর্ঘ দিন পালিয়ে বিদেশে আবস্থান করছেন।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার ওই তরুনী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি যাওয়ার সময় সদরপুর উপজেলার মোনিকোটা বাজারের পাশে এলে তাকে জোর করে পিস্তল ঠেকিয়ে কামরুজ্জামান রাজিব একটি সাদা প্রাইভেটকারে তুলে অপহরণ করেন।
পরবর্তীতে ওই তরুনীকে ঢাকায় নিয়ে একটি বাসায় আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষন করেন।
এরপর বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন বলে তার পরিবার অভিযোগ করেন। পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে, আবস্থানের খোঁজ পেলে তার ভাই পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর সুমন এবং আরেক ভাই মুসা বেপারি তাকে আজ্ঞান আবস্থায় কোকাকোলা হেলালের মেস থেকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর ভিকটিমের বাবা মিজান বেপারি বাদী হয়ে সদরপুর থানায় রাজিবকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন।
২ বছর পর দুটি মামলার রায় ঘোষণা করছে আদালত। রায়ে প্রধান আসামি কামরুজ্জামান রাজিবকে দোষী সাব্যস্ত করে আপহরণ ও ধর্ষন মামলায় জাবত জীবন কারাদণ্ড ও মানহানির মামলায় ১২ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মামলার প্রধান আসামি বিদেশে পলাতক থাকায় আমরা তাকে আটক করতে পারছিনা। তবে আমরা সার্বক্ষণিক তার খোঁজখবর রাখছি, দেশে এলেই কামরুজ্জামান রাজিবকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
ভিকটিমের বাবা মিজান বেপারি বলেন, আমরা আদালতের এ রায়ে সন্তুষ্ট নয়। প্রধান আসামি কামরুজ্জামান রাজিবের ফাঁসি দাবী করে প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাবো। সেই সাথে সরকার ও পুলিশের প্রতি দাবী জানাবো যেনো রাজীবকে দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।