ঢাকাTuesday , 29 October 2024
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি বার্তা
  5. খেলাধুলা
  6. গনমাধ্যাম
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. প্রবাসের খবর
  12. ফ্যাশন
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে অতি বৃষ্টিতে বাড়ছে মরিচ চাষে খরচ

    admin
    October 29, 2024 7:52 pm
    Link Copied!

    মনিরুজ্জামান জাহিদ বগুড়া জেলা সংবাদদাতা :

    বগুড়া সারিয়াকান্দিতে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে কৃষকদের মরিচ চাষে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা গেছে। পচারি রোগে মরিচ গাছ মরে যাওয়ায় কয়েক দফায় লাগাতে হয়েছে চারা। মরিচের চারা সংগ্রহ করতেও বিপাকে রয়েছেন কৃষকরা। বৃষ্টির জন্য আগাম মরিচ বাজারজাত করতে পারছেন না তারা। সংকট মোকাবেলায় কৃষকদের ৫০ হাজার কোকোপিটের মরিচের চারা সরবরাহ করবে বগুড়া জেলা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি।

    সারাদেশে বিখ্যাত বগুড়া সারিয়াকান্দিতে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও কৃষকরা আগাম জাতের হাইব্রিড মরিচ জমিতে রোপণ করেছেন। রোপণের সময় অনুযায়ী কৃষকেরা সঠিক সময়ে কাঁচা মরিচ বাজারজাত করতে পারছেন না।
    কারণ হিসেবে কৃষকরা জানিয়েছেন, অসময়ের টানা বৃষ্টিতে তাদের রোপণকৃত মরিচের চারাগাছগুলো ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারেনি এবং জোয়ার নষ্ট হয়েছে। ফলে সঠিক সময়ে মরিচ গাছে মরিচ ধরেনি। তাছাড়া টানা বৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ মরিচ গাছে পচারি রোগ ধরে তা নষ্ট হয়েছে। তাই মরে যাওয়া মরিচ গাছের যায়গায় আবারো নতুন করে বেশ কয়েকবার মরিচ গাছ রোপণ করতে হয়েছে। উপজেলার চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন কৃষক তাদের নষ্ট হওয়া মরিচ ক্ষেত নতুন ভাবে চাষ করে আবারও মরিচ গাছ রোপণ করছেন। কেউবা ২ থেকে ৩ বারও মরিচ গাছ রোপণ করেছেন। তাছাড়া অতিবৃষ্টির কারণে কৃষকদের মরিচ গাছে বিভিন্ন ধরনের রোগের আক্রমণ হচ্ছে। এতে মরিচ গাছে গত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। তাছাড়া অতিবৃষ্টির কারণে জমিতে বারবার নিড়ানি দেয়ার জন্য শ্রমিক খরচও বেশি হচ্ছে। এতে এ বছরের মরিচ চাষে কৃষকের গত বছরগুলোর চেয়ে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে বারবার মরিচের চারা লাগানোর ফলে এলাকায় এখন হাইব্রিড জাতের মরিচের চারার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ সংকট থেকে উত্তোরণে বগুড়া জেলা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি কৃষকদের মাঝে ৫০ হাজার উন্নত জাতের কোকোপিটের মরিচের চারা সরবরাহ করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
    ২ বার মরিচের ক্ষেত নষ্ট হওয়ার পর উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের নয়া পাড়া গ্রামের কৃষক খাজা আকন্দ (৫৫) নতুন কওে আবারও জমি তৈরি করছেন মরিচ চাষের জন্য। অসময়ের অতিবৃদ্ধর কারণে ২ বার করে লাগানো মরিচ গাছ তার নষ্ট হয়েছে। ৩০ শতক জমিতে প্রতিবার মরিচ চাষ করতে তার ১৫ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হয়েছে। পুনরায় শেষবারের মতো তিনি মরিচ চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। তবে চারা সংগ্রহ নিয়ে তিনি দু:চিন্তায় আছেন। একই এলাকার কৃষক আব্দুল মান্নান তার ৫ বিঘা জমিতে গত বছর মরিচ চাষ করে ২ লাখ টাকা লাভ পেয়েছেন। এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে তার ৫ বিঘা জমিতে ৬০ হাজার টাকা খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া সঠিক সময়ে তিনি কাঁচা মরিচ বাজারজাত করতে পারছেন না।
    সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এ উপজেলায় ৩১১০ হেক্টর জমিতে ৪ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন শুকনা মরিচ উৎপন্ন হয়েছিল। এ বছর মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩৫০ হেক্টর। যা ৩০৫০ হেক্টর জমিতে উৎপন্ন হয়েছে এবং চলমান রয়েছে।
    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, মরিচ গাছের পচনরোধ করতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
    বগুড়া জেলা পল্লী উন্নয়ন একাডেমির চর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ড. মো. আব্দুল মজিদ জানান, চরের কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করা সরকারি প্রতিষ্ঠান পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ক্ষতিগ্রস্থদের ৫০ হাজার মরিচ চারা বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। বন্যা পরবর্তী সঙ্কট মোকাবিলায় ফসল নষ্ট হওয়া জমিগুলো দ্রুত চাষের আওতায় আনতে কোকোপিটে উচ্চফলনশীল মরিচ চারা উৎপাদন করছে তারা।
    (সংগ্রহীত নিউজ)

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST