বেলাল উদ্দিন চট্টগ্রাম দ: জেলা প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব এর সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট মোড়স্থ একটি হোটেলে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৪ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ২১৫০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে উপস্থিত হওয়া মাত্রই র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা আসামি ১। মোঃ সুমন (২২), পিতা- আব্দুল রশিদ খান, সাং- হাজীনগর, থানা- ডেমরা, জেলা- ঢাকা, বর্তমানে- বাস্তহারা, ৩৫ নং ওয়ার্ড, মসজিদ কলোনি, বাকলিয়া, চট্টগ্রাম মহানগরী, এবং ২। মোঃ সাকিব (১৯), পিতা- মৃত সেলিম, সাং- রাজাখালী, থানা- বাকলিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম’দের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশিকালে তাদের পরিহিত প্যান্টের পকেটে থাকা ১০ পলিজিপার প্যাকেট হতে মোট ১৯৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার সহ আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদকদ্রব্য কক্সবাজার জেলা হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামি ও জব্দকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামিদেরকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।