অষ্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ সরকারি রোটারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোজতাবা আরিফ খানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনিয়ম, চারিত্রিক স্খলন, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। রোটারী কলেজের সাবেক প্রভাষক ও অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মুকুল অধ্যক্ষের গুরুতর অসঙ্গতি ও দূর্নীতিমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর বরাবর লিখিত ভাবে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পত্রে তিনি ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকারের আমলে দীর্ঘদিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের ছত্রছায়ায় থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কলেজের বৈধ অধ্যক্ষ পিয়াল হককে শারীরিক নির্যাতনের করে জোরপূর্বক সরিয়ে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগলাভ, আর্থিক কেলেঙ্কারী, শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণ, চারিত্রিক স্খলন, ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি-টিউশন ফির অর্থ আতœসাৎ, ভূয়া ভাউচার বাণিজ্য, আদায়কৃত বিভিন্ন ফি আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দকৃত প্রকল্পের টাকা ফান্ডে জমা না করে আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম-দূর্নীতির কথা উল্লেখ করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (২৬ নভেম্বর) পরিদর্শন ও নীরিক্ষা অধিদপ্তর থেকে একজন পরিদর্শক ও একজন অডিটর পরিদর্শনে আসেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী জাকির হোসেন মুকুল এ প্রতিনিধিকে জানান- অধ্যক্ষ দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ২০১৮ সনে কলেজ সরকারিকরণ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের নামের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন হয়রানি করে আমার জীবনকে তছনছ করে দিয়েছেন। তিনি এ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান।
অধ্যক্ষ মোজতাবা আরিফ খান তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে এ প্রতিনিধিকে জানান- আমি এ অভিযোগের বিষয়ে কোন কিছুই অবগত নই। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে কোন চিঠি দিয়েও অবগত করেনি। তাই সঠিক তদন্তের স্বার্থে তিন মাস সময় চেয়ে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন করে মেইল পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে তদন্তকারী পরিদর্শক সাইফুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান- আমরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে আসলে অধ্যক্ষ মোজতাবা আরিফ খান আমাদের কোন সহযোগীতা করেননি। তার আচরণ ছিল অসংলগ্ন। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


