বরগুনা প্রতিনিধি :
বরগুনায় এক আওয়ামী লীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিন ইউপি সদস্যসহ বিএনপির ৬ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক এস. এম. শরিয়ত উল্লাহ এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ইসরাত হোসেন সুমন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছর ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন উপলক্ষে অভিযুক্তরা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মাইঠা ব্রিজ সংলগ্ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. মনিরুজ্জামানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় মনিরুজ্জামানের স্ত্রী মোসা. মুন্নী বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
কারাগারে পাঠানো অভিযুক্তরা হলেন: বরগুনা জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য এমদাদুল হক মিলন, এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিল্টন, এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য সোলায়মান কবির ইউনুস, এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আকতারুল হক, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মন্টু মল্লিক ও জামাল মল্লিক।
এ মামলায় অভিযুক্তরা আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বাদী মোসা. মুন্নি বলেন, আমি মামলা করার এক বছর দুই মাস পর, দুই দিন আগে (১৬ তারিখ) দ্রুত বিচার আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য একটি আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেই। রোববার সংশ্লিষ্ট আদালতে পুনরায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে প্রিন্স নামের একজনকে জামিন দেওয়া হয়, তবে বাকি ছয়জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। মামলার আসামি কামরুল ইসলাম মিরাজ মামলা হওয়ার পর বিদেশে পালিয়ে গেছেন। আমি এ মামলায় আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ইসরাত হোসেন সুমন বলেন, গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্তরা আদালতে হাজির হয়ে অস্থায়ী জামিন পান। পরে আজ তারা স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, আমার আসামীরা জামিনে ছিল। জামিনে থেকে কোনো শর্ত ভঙ্গ করেনি। তা ছাড়া ৫ আগস্টের জুলাই যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যে সব মামলা হয়েছে সেই সব মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াধীন। আমরা আসামীদের পক্ষে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করব।