ঢাকাSunday , 19 October 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আমাদের পরিবার
  5. কৃষি বার্তা
  6. খেলাধুলা
  7. গনমাধ্যাম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ধর্ম
  12. প্রবাসের খবর
  13. ফ্যাশন
  14. বিনোদন
  15. বিশেষ প্রতিবেদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • কুষ্টিয়ায় জাতীয় পর্যায়ে লালন সাঁইয়ের ১৩৫ তম তিরোধান দিবসে ২য় দিনের আলোচনা সভা অনু‌ষ্ঠিত

    admin
    October 19, 2025 11:08 am
    Link Copied!

    এস.এম.রিয়াদুল ইসলাম,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:

    বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৫ তম তিরোধান দিবস জাতীয় পর্যায়ে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে, লালন একাডেমি ও জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় লালন মাজার প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে লালন তিরোধান দিবস। এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ২য় দিনের আলোচনা সভা শেষ হয়েছে।

    এ অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন এর সভাপতিত্বে, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি) ও স্থানীয় সরকার শাখার ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক মিজানুর রহমান। বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার। মূখ্য আলোচক ছিলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক নুসরাত তাবাসসুম, কুষ্টিয়া জেলা এনসিপি প্রধান সমন্বয়কারী জান্নাতুল ফেরদৌস টনি, কুষ্টিয়া জেলা গনঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুজ্জামান প্রমূখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল ওয়াদুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহাঙ্গীর আলমসহ সন্মানিত ব্যক্তিবর্গ।

    বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩৫ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে ৩ দিন ব্যাপী উৎসবের আজ শেষ দিন।  দ্বিতীয় দিনেও সাধু ভক্তদের পদচারনায় মুখরিত ছিলো   সাইজির আখড়াবাড়ি। দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও বিদেশ থেকে লালনের সাধু ভক্তরা এসেছে ভবের এই হাটে। খন্ড খন্ড ভাবে আসন গেড়ে বসে চলছে গানে গানে লালনের জাতপাতহীন, মানবতাবাদী, অহিংসদর্শনের প্রচার। সাইজির রেখে যাওয়া এ আধ্যাত্বিক বানী আয়ত্ব করলেই হবে মানব কল্যান, মিলবে মুক্তি, এমনটাই মনে করেন লালন অনুসারি ও গবেষকরা। ভবের হাটের এই মিলনমেলায় জাতপাত-ধর্ম বর্ন মিলে মিশে হয়েছে একাকার। এসময় বক্তারা বলেন, লালনের বানী গুলো সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। লালন সবসময় মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখেছেন। মানবতার কথা বলেছেন। মানুষ সকলে এক তিনি এই দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন। আজকের সমাজ ধর্মে বিভক্ত, আমরা এক সৃষ্টি কর্তার তৈরী। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানে কেন বিভেদ থাকবে, লালন সেটাই প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। সমাজকে পরিবর্তন করতে হলে লালনের বাণী সবাইকে ধারন করতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের জীবনী সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা করেন। লালনের বানী থেকে প্রতিটি মানুষকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিৎ। তিনি মরমী সাধক ছিলেন। জাত পাত ভেদাভেদ ছিলো না তার কাছে। তেমনি ভাবে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে লালনকে অনুসরণ করতে হবে। তার গানের মাধ্যমে প্রমান পেয়েছে। মানুষ জাতির উর্দ্ধে। লালন বলে জাতির কি রুপ দেখলাম না তারে। সে জন্য লালনের দর্শন পেতে ছুটে আসে লাখো মানুষ। লালন দর্শনের সত্যতা ও গভীরতা সঠিক ভাবে ধারন করতে পারলেই সমাজ থেকে দূর হবে হিংসা-বিদ্দেশ, হানাহানি।  এদিকে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী উল্লেখ্য করে বলেন, কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার ছেউড়িয়া গ্রামে অবস্থিত আখড়াবাড়ি? এখানে যে সকল উন্নয়ন হয়েছে সবই বিএনপি আমলে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখানে উন্নয়ন করেছে। আপনারা যে সকল ভবন দেখছেন আমি এমপি থাকাকালীন সময়ে এসব হয়েছে। এর উপরে পুজি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস শেখ হাসিনা সরকার আখড়াবাড়িতে কোন উন্নয়ন করেনি। তারা ক্ষমতায় থেকে উন্নয়নেন নামে যে অর্থ লোপাট করেছে, সেটা দিয়ে দেশে কয়েকবার বাজেট ঘোষণা করা যেতো। আজ তারা তাদের কর্মের ফল পেয়েছে, এ দেশ থেকে ছাত্র জনতা তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমুচিত জবাব দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে শেখ হাসিনা, কাউয়া কাদের সহ তার সকল নেতাকর্মী পালিয়েছে। আগামী দিনে আমি কুষ্টিয়া-৪ আসনে এমপি নির্বাচিত হলে আখড়াবাড়িতে একটি লালন গবেষণা কেন্দ্র করা হবে। এছাড়া বাউলদের থাকার জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।
    উল্লেখ, ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক লালন সাঁইজির দেহত্যাগের পর থেকেই এভাবে অনুষ্ঠান চলে আসছে। মনের বাসনা পূরণ ও লালন প্রেমের টানে জমজমাট হয়ে উঠছে সাঁইজির বারামখানা। এদিকে রেওয়াজ মতে চলছে গুরু-শিষ্যের সাধন-ভজন, ভক্তি-শ্রদ্ধা নিবেদন। সাইজির রেখে যাওয়া এসব আধ্যাত্বিক বানী আয়ত্ব করতে পারলেই হবে মানব কল্যান, মিলবে মুক্তি, এমনটাই বলছেন আখড়াবাড়িতে আসা সাধু-বাউলেরা।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST