ঢাকাThursday , 27 November 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আমাদের পরিবার
  5. কৃষি বার্তা
  6. খেলাধুলা
  7. গনমাধ্যাম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ধর্ম
  12. প্রবাসের খবর
  13. ফ্যাশন
  14. বিনোদন
  15. বিশেষ প্রতিবেদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • ঘোড়াঘাটের ৮ বছরের ইশতিয়াক কর্নিয়া রোগে আক্রান্ত চিকিৎসা না পেলে পুরোপুরি অন্ধ হওয়ার ঝুঁকি

    admin
    November 27, 2025 5:26 pm
    Link Copied!

    ফাহিম হোসেন রিজু, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

    দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের কশিগাড়ী গ্রামের শিশু ইশতিয়াক সরকার (৮) জন্মের মাত্র পাঁচ মাস বয়স থেকেই লড়াই করছে জটিল কর্নিয়াল চোখের রোগের সঙ্গে। জন্মের কয়েক মাস পর থেকেই তার চোখ দিয়ে পানি পড়া, অস্বাভাবিক চাপ (আই প্রেশার) ও আলোতে তাকাতে সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়—ইশতিয়াকের বাম চোখ সম্পূর্ণ অকার্যকর এবং ডান চোখের দৃষ্টিশক্তির প্রায় ৭৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিদিনই তার চোখের অবস্থা আরও অবনতি হচ্ছে; দ্রুত চিকিৎসা না হলে সে যে কোনো সময় সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

    ইশতিয়াক কশিগাড়ী গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে।
    ইশতিয়াকের উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়মিত ফলোআপ, কর্নিয়া চিকিৎসা, চোখের চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং দীর্ঘমেয়াদি মেডিকেল কেয়ারের প্রয়োজন। এসব চিকিৎসা করা হচ্ছে রাজধানীর ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে। তবে চিকিৎসার ব্যয় এত বেশি যে তা বহন করা পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

    ইশতিয়াকের বাবা আরিফুল ইসলাম আগে শ্যামলী পরিবহনে সুপারভাইজার পদে চাকরি করতেন। সেই চাকরিটিও চলে যাওয়ায় পরিবারের আয় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে তিনি এখন সম্পূর্ণ অসহায়। দিনমজুরির মতো কাজ করে কোনোভাবে সংসার চালালেও ব্যয়বহুল চিকিৎসা তিনি আর বহন করতে পারছেন না।

    চোখের সমস্যার কারণে ইশতিয়াকের পড়াশোনাও থেমে গেছে। ইশতিয়াক উপজেলার রানীগঞ্জ আদর্শ স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। পড়ার সময় ব্ল্যাকবোর্ড দেখতে না পারায় তার পড়ালেখায় চরম ব্যাঘাত ঘটে। পরে তাকে উপজেলার কলনী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হলেও দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ায় সেখানেও সমস্যায় পড়ছে।

    ইশতিয়াকের বাবা আরিফুল ইসলাম বলেন, “ছেলেটাকে আবার সুস্থ দেখতে চাই। কিন্তু এখন আমার আর সামর্থ্য নেই। দেশ-বিদেশের মানুষ যদি একটু সহযোগিতা করেন, আমার ছেলে হয়তো আবার আলো দেখতে পারবে।”

    চিকিৎসকদের মতে, ইশতিয়াকের চিকিৎসা ও নিয়মিত ফলোআপে লাখ টাকার মতো ব্যয় প্রয়োজন। পরিবারটি অক্ষম হওয়ায় এখন সমাজের সহৃদয় মানুষের সাহায্যই একমাত্র ভরসা।

    সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা: মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ): ০১৭৩৭৮৯৭৭৪২, সোনালী ব্যাংক, রানীগঞ্জ শাখা: ১৮২৫৯০১০১৩৪১৪,

    ইশতিয়াককে অন্ধ হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন—আপনার সামান্য সহযোগিতায় ফিরতে পারে তার জীবনের আলো।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST