আনিসুর রহমান মানিক, পঞ্চগড় :
পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ওই বিদ্যালয়টির গণিত বিষয়ক শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরোও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাসুদ পারভেজ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই স্কুল ছাত্রীকে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন নিজের প্রাইভেট সেন্টারে পড়াতেন গণিত বিষয়ক শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান।
গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে ওই ছাত্রী প্রাইভেট সেন্টারে গেলে তাকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন শিক্ষক মোস্তাফিজুর।
এ সময় স্থানীয়রা তাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ওইদিনই ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বাবা পঞ্চগড় সদর থানায় শিক্ষক মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে স্কুল শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে বিপক্ষে আন্দোলন হয়।
মামলার কার্যক্রম প্রায় ৫ মাসের মধ্যেই সাক্ষী গ্রহণসহ বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আদালত আজ এই রায় দেন।
রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তবে আসামিপক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো: জাকির হোসেন জানান, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রায় ৫ মাসের মধ্যে আলোচিত এই মামলার রায় হলো। আমরা সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।
আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।


