ঢাকাTuesday , 2 December 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আমাদের পরিবার
  5. কৃষি বার্তা
  6. খেলাধুলা
  7. গনমাধ্যাম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ধর্ম
  12. প্রবাসের খবর
  13. ফ্যাশন
  14. বিনোদন
  15. বিশেষ প্রতিবেদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • বান্দরবানে ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি ২৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে গণসমাবেশ ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত

    admin
    December 2, 2025 4:12 pm
    Link Copied!

    বান্দরবান প্রতিনিধি। 

    “অধিকার আদায়ের জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়া  সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নয়, এটা নিজেদের অধিকারের লড়াই, অস্তিত্বের রক্ষার লড়াই।” পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’র ২৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গণসমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক উ উইন মং জলি এ কথা বলেন।

    আজ মঙ্গলবার(২ ডিসেম্বর) বেলা ১০ টার দিকে বান্দরবান রাজার মাঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির আয়োজনে গণসমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণসমাবেশে সাত উপজেলা থেকে হাজারো পাহাড়ি নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরীরা অংশ নেন। 

    গণসমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের ২৮ বছর অতিক্রান্ত হলেও চুক্তির মৌলিক দিকসহ প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ধারা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামকে উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় আইনি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ভূমি কমিশনের মাধ্যমে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বেদখল হওয়া জমি ফেরত দেয়ার উদ্দেশ্যে বিধিমালা প্রণয়ন করা হলেও তা বাস্তবে কার্যকর করা হয়নি।

    বক্তারা আরও বলেন, ‘অপারেশন উত্তরণ’ এর নামে দীর্ঘ বছর ধরে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে ‘পাহাড়ি সন্ত্রাসী’ তকমা দিয়ে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। অধিকার আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলেও তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

    গণসমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মিউচিং মারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ১১টি স্বতন্ত্র পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে করা চুক্তিতে তাদের সাংস্কৃতিক ও নিজস্ব অধিকার রক্ষার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ৩২টি। বাকি ধারাগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। 

    প্রধান অতিথি উ উইন মং জলি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা এটা কোনো সামরিক সমস্যা নয়, এটা একটা রাজনৈতিক সমস্যা। এটা সমাধান করতে হলে রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হতে। পাহাড়িরা বাংলাদেশ সংবিধানের অংশ হতে চাই। পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে বাচতে চাই। যারা বাংলাদেশ সংবিধানের অংশ হতে চাই তাদেরকেই বলছে বিছিন্নতাবাদি। পাহাড়িরা নিজেদের অধিকারের জন্য সকল নিয়মতান্ত্রিক পথে হেঁটেছে। নিয়মতান্ত্রিক পথ রুদ্র হলে আমাদের বিকল্প পথ বেছে নিতে বাধ্য হব। বিকল্প পথে গেলে সে-ই ফল কারোই সুফল হবে না। অস্ত্র জমা দিয়েছি ট্রেনিং জমা দি নাই। অস্ত্র ধরার রেকর্ড আগেও ছিল প্রয়োজনে আবার অস্ত্র ধরব। 

    তিনি আরও বলেন, চুক্তি আগে থেকে শাসকগোষ্ঠীরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। শাসকগোষ্ঠীরাই চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নে ষড়যন্ত্র করছে। ২৮ বছর ধরে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মানুষ সংখ্যালঘু থেকে আরো সংখ্যালঘু করে প্রান্তিক পর্যায়ের নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাই চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা না করলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলার হুশিয়ারী দেন প্রধান অতিথি। 

    পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেলা কমিটির সভাপতি সুমন মার্মার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের বান্দরবান জেলার সভাপতি উলিসিং মার্মা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বান্দরবান জেলার সহসম্পাদক সিংওয়াই মং মার্মা, সিএইটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক মংনু মার্মা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেলার সদস্য থুইমংপ্রু প্রমুখ। অন্যদিকে বান্দরবান জেলা পরিষদের উদ্যোগে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’র ২৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই ও জেলা পরিষদের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST