রিয়াজুল ইসলাম, হাতিয়া প্রতিনিধি-
নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিয়ের দাবিতে এক পল্লীচিকিৎসকের বাড়ীতে তিনদিন ধরে অনশন করছেন এক মাদ্রাসাছাত্রী। এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের পূর্ব বিরবিরি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পল্লীচিকিৎসক নাহেদ উদ্দিন একই গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে এবং স্থানীয় বাজারে একটি ফার্মেসির ব্যবসা পরিচালনা করেন। অনশনে থাকা ছাত্রী খালেদা আক্তার একই গ্রামের মোছলেহ উদ্দিনের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাহেদ উদ্দিনের বাড়ীতে খালেদা আক্তার অনশনে বসে আছেন। তাকে ঘিরে অনেক গ্রামবাসী জড়ো হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়রা জানান, নাহেদ ও খালেদার মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। খালেদা বিয়ের জন্য চাপ দিলে নাহেদ পালিয়ে যান। পরে খালেদা নাহেদের বাড়িতে এসে অবস্থান নেন এবং বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন। বিষয়টি একাধিকবার গ্রাম্য শালিসে তোলা হলেও সম্পর্কের প্রমাণ না মেলায় সমাধান হয়নি।
অনশনে থাকা খালেদা আক্তার বলেন,
“আমার সাথে নাহেদের অনেক দিনের সম্পর্ক। সে আমাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু এখন তার পরিবার অন্যত্র বিয়ের চেষ্টা করছে। তাকে ফোন দিলে সে মোবাইল বন্ধ করে দেয়। তাই আমি বাধ্য হয়ে তার বাড়িতে চলে এসেছি। আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাব না। প্রয়োজনে আমার লাশ এখান থেকে যাবে।”
অন্যদিকে পল্লীচিকিৎসক নাহেদ উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
“এ মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কয়েকবার আমার পথ আটকেছে। এলাকার একটি চক্র এই ষড়যন্ত্রে জড়িত। তার সাথে আমার সম্পর্ক আছে এমন কোনো প্রমাণ দিতে পারলে সমাজের যে কোনো শাস্তি আমি মেনে নেব।”
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে এখনো কোনো প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।