পারভেজ হাসান, বেরোবি
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচন বাস্তবায়ন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে এগিয়ে নিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাবে ৫ দফা দাবিনামা উপাচার্যের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলীর নিকট এ প্রস্তাবনাপত্র হস্তান্তর করা হয়।
শিক্ষার্থীরা মনে করেন, গণতান্ত্রিক চর্চা, অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব গঠন, সাংস্কৃতিক বিকাশ এবং রংপুর অঞ্চলের সার্বিক সংকট নিরসনে ব্রাকসু প্রতিষ্ঠা একটি সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী উদ্যোগ।
প্রস্তাবনায় বলা হয়, দ্রুত কার্যকর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে শিক্ষার্থীরা ব্রাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাবে এবং তাতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হবে।
প্রস্তাবনাপত্রে যে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়—
১) অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন কমিশন:
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান ৬ অনুষদ থেকে একজন করে মোট ৬ জনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রতিনিধিত্বমূলক কমিশন গঠন করা।
২) প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিহার:
নির্বাচন কমিশনে কোনো প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষককে অন্তর্ভুক্ত না করার মাধ্যমে কমিশনের নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
৩) প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন:
নিযুক্ত ছয় কমিশনার ও সংসদ সভাপতি, মোট সাতজনের সম্মতিক্রমে কমিশনারদের মধ্য থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন করা।
৪) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ:
প্রতি আবাসিক হলের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রভোস্টকে রিটার্নিং কর্মকর্তা করার প্রস্তাব করা হয়।
৪(ক): নির্বাচনী কার্যক্রমে সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে প্রতিটি অনুষদ থেকে নিয়োগ দিতে হবে।যেমন:
• যদি ০৬ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রয়োজন হয়, তবে প্রতিটি অনুষদ থেকে একজন করে নিযুক্ত হবেন।
• যদি ০৯ জন প্রয়োজন হয়, তবে শিক্ষার্থীসংখ্যা বেশি এমন তিনটি অনুষদ থেকে দুজন করে এবং অপর তিনটি অনুষদ থেকে একজন করে নিযুক্ত হবেন।
৫) অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি গঠন:
ব্রাকসু গঠনতন্ত্রের ১৭ ধারার আলোকে একজন ডিন, প্রক্টর এবং লিগ্যাল অফিসারকে অন্তর্ভুক্ত করে অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়। কোন অনুষদের ডিন অন্তর্ভুক্ত হবেন সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করবে বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়, উল্লিখিত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন হলে ব্রাকসু নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য কাঠামো হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্ব সৃষ্টিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।


