কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: এম এন জাকারিয়া খাঁন মুরাদ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটের আওতায় মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ৪০ জন মৎস্য চাষীকে ৪৮ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যয়ের মধ্যে প্রশিক্ষক ভাতা, প্রশিক্ষণ ভাতা, নাস্তা এবং কলম, খাতা, ফাইল কভার, হ্যান্ডনোটসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মৎস্য অধিদপ্তর রংপুরের পরিচালক মোঃ আয়নাল হক, কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলাম আকন্দ, কুড়িগ্রাম সদর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছাঃ ইসমত আরা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অ.দা.) মোঃ শাহাদাত হোসেন এবং চিলমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (চ.দা.) মোঃ বদরুজ্জামান মিয়া।
প্রশিক্ষকরা জানান, শীতকালে মাছ চাষে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেয়। পানির তাপমাত্রা কমে গিয়ে মাছের খাবার গ্রহণ কমে যায়, রোগের ঝুঁকি বাড়ে এবং পুকুরে ক্ষতিকর গ্যাসের সৃষ্টি হয়। এসব থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত চুন প্রয়োগ, পানির গভীরতা বজায় রাখা এবং পুকুরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের বিষয়ে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এছাড়া পুকুর ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, মিশ্রচাষ পদ্ধতি, উচ্চ ফলনশীল মাছের পোনা নির্বাচন, সঠিক সময়ে খাবার প্রদান, পানির গুণগত মান পরীক্ষা, মাছের রোগ শনাক্তকরণ ও প্রতিকার সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। প্রশিক্ষণে মাছের খাদ্য ব্যবস্থাপনা, নিয়মিত ওজন বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ, পুকুরে আগাছা ও শামুক নিয়ন্ত্রণের কার্যকর উপায়ও তুলে ধরা হয়।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী চাষীরা জানান, আধুনিক ও বিজ্ঞসম্মত মাছ চাষ সম্পর্কে তারা অনেক নতুন বিষয় জানতে পেরেছেন। প্রশিক্ষকরা আশা প্রকাশ করেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাষীরা তাদের শেখা জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করলে উৎপাদন বাড়বে এবং এলাকার অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।


