মো:ফারুক আহমেদ( টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুল হক মাসুদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার নেংরাবাজার জাহাজমারা ঘাট সংলগ্ন যমুনা সেতু আঞ্চলিক সড়কে স্থানীয় বিএনপি ও সাধারণ মানুষের যৌথ আয়োজনে এ মানববন্ধন পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, নিকরাইল ইউনিয়নের বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মাসুদুল হক মাসুদ প্রশাসনের কাছে পঞ্চাশ লাখ টাকা চাঁদা দাবির একটি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। তারা এই অভিযোগকে হয়রানিমূলক আখ্যা দিয়ে সাবেক চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তার ও নেতা-কর্মীদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান। বক্তারা সতর্ক করে বলেন, তাদের দাবি না মানলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। অন্যদিকে, মাসুদুল হক মাসুদের পক্ষ থেকে জানা যায়, ‘সরকার পতনের পর’ বালুর ঘাট দখলের চেষ্টা করেছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বালুর ঘাটকে কেন্দ্র করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দায়েরকৃত অভিযোগে মাসুদুল হক দাবি করেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনুমতি নিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে তিনি বালু বিক্রি শুরু করলে ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সোলায়মান হোসেন লিটনের নির্দেশে নিকরাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. আল আমিন ও মো. বেলাল হোসেনসহ ২৫-৩০ জন ব্যক্তি বালুর ঘাটে গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং বালু বিক্রি বন্ধের হুমকি দেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, পরের দিন ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় সোলায়মান হোসেন লিটন, এডভোকেট সাইফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর মন্ডলসহ ৫০-৬০ জন ব্যক্তি আবারও তার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বহনকারী গাড়ি চলাচলের রাস্তা বালু দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা জনসাধারণের একমাত্র চলাচলের রাস্তা ছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাসুদুল হক মাসুদের স্ত্রী শেফালী বেগম স্থানীয় সেনাবাহিনী, ইউএনও অফিস, ভূমি অফিস ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।