আরিফ হোসেন,জেলা প্রতিনিধি, ভোলা
ইয়াবা, গাঁজা ও ফেন্সিডিল থেকে শুরু করে দেশীয় মাদক-সবই এখন হাতের নাগালে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, এসব মাদকের প্রধান টার্গেট হয়ে উঠছে কিশোর ও তরুণরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ—অন্ধকার নামতেই চরাঞ্চল, বেড়িবাঁধ, খালের ধার ও বাজারঘাটে সক্রিয় হয়ে ওঠে মাদক ব্যবসায়ীরা। আর এসবের ছোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে একের পর এক পরিবার।
অভিভাবকরা বলছেন, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া অনেকেই প্রথমে কৌতূহলবশত জড়িয়ে পড়ছে নেশায়।৷ পরে মাদকের ধারাবাহিক ব্যবহার তাদের টেনে নিচ্ছে অপরাধের জগতে। চুরি, ছিনতাই থেকে শুরু করে সহিংসতায় জড়াচ্ছে অনেকে।
এদিকে প্রশাসন বলছে, “মাদক নির্মূলে নিয়মিত অভিযান চলছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, “ছোট ও মাঝারি মাদককারবারীরা ধরা পড়লেও বড় এবং রাঘববোয়ালরা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।”
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দৌলতখান পৌরসভার পাড়া- মহল্লা সহ উপজেলার সর্বত্র এখন মাদক ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রাম-গঞ্জে হাত-বাড়ালেই মিলছে মাদক । দৌলতখান পৌরসভার কলেজ রোড, টাউনহল চত্বর, পশুহাসপাতাল রোড, লাহাড়ি জঙ্গল মোড়, মুনাফ বেপারী মোড়, দলিল উদ্দিন খায়ের হাট এলাকা নিরাপদ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা, চরখলিফা ইউনিয়নের কলিমউদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ি মোড় এলাকায় নেশায় নিয়মিত মাদকের আসর বসছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মাদক পাচারে মেঘনা নদীকে বেছে নিয়েছে কারবারীরা। দৌলতখান – আলেকজান্ডার নৌরুটে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ট্রলারে মাদকের বড় চালান আসছে। মেঘনা নদী বিধৌত ভবানীপুর ও সৈয়দপুর, মেদুয়া ও ইউনিয়নের নির্জন এলাকা দিয়ে প্রতিনিয়ত মাদকের চালান ঢুকছে। এসব মাদক হাত-বদল হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সমগ্র জেলায়। রাজনৈতিক দলের পদ-পদবীধারীদের আশ্রয়ে থেকে মাদক কারবারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যা সমাজে বিরুপ প্রভাব বিস্তার করছে।
দৌলতখানের সচেতন মহল মনে করছে ,পরিবার, সমাজ, স্কুল-কলেজ ও প্রশাসন-সবাই মিলে কাজ না করলে মাদকের ভয়াল দানবকে থামানো সম্ভব নয়।
দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে দৌলতখান থানা পুলিশ কর্তৃক নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মাদককারবারী যতই শক্তিশালী হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।


