মোঃতানজিলুল ইসলাম লাইক, রাজশাহী,
আন্দোলনরত জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আট দলের রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর নগরীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সমমনা জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় মহানগরীর কুমারপাড়ায় অবস্থিত আমানা ফানভিলে রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজকরা।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরের সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল বলেন, “আমাদের দলের রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নেতাকর্মীরা সমাবেশে অংশ নেবেন। একই সঙ্গে অন্য সাত দলের রাজশাহী বিভাগের আট জেলার নেতাকর্মীরাও যোগ দেবেন। ৫ দফা দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলমান। ঢাকায় সমাবেশ হয়েছে, এবার ৩০ নভেম্বর রাজশাহীতে হবে। দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সমাবেশ চলবে।”
তিনি বলেন, পিআর ও জুলাই সনদ অত্যাবশ্যকীয় হলেও সরকার দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিচ্ছে না এবং গণভোট আয়োজনেও গড়িমসি করছে। একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনকে তিনি ‘হাস্যকর’ উল্লেখ করে বলেন, এতে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায় না।
ইমাজ উদ্দিন আরও বলেন, “সরকারি প্রশাসন বিশেষ একটি দলের প্রভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এ অবস্থা বজায় থাকলে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষের আশা ও আকাঙ্ক্ষা নতুনভাবে জাগ্রত হয়েছে। এখন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি সময়ের দাবি। জুলাইয়ের আহত, শহীদ ও পঙ্গুদের যথাযথ পুনর্বাসনও এখনো নিশ্চিত হয়নি।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী মহানগরের সভাপতি হুসাইন আহমদ, জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকি, জেলা সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ সুজন, জামায়াতে ইসলামীর নাটোর জেলা আমির ড. মীর নুরুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা সেক্রেটারি গোলাম মর্তুজা, জাগপার বিভাগীয় সমন্বয়ক বাতিনুর রহমান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি সাইফুল হকসহ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।


