কুড়িগ্রাম (রাজারহাট) প্রতিনিধি: জাহিদ হাসান।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান বাজারে মাগরিবের নামাজের পর এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বাউলশিল্পী আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, বিশেষত ফাঁসির দাবিতে এই সমাবেশ করেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
রাজারহাট, কুড়িগ্রাম: সম্প্রতি সংগীত পরিবেশনের সময় ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহকে নিয়ে কথিত ‘কটূক্তি’র অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বাউলশিল্পী আবুল সরকারের বিরুদ্ধে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজারহাট। শুক্রবার (২৮-১১-২০২৫ ইং) মাগরিবের নামাজের পর কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান বাজারে স্থানীয় তৌহিদী জনতার উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা ‘আল্লাহ এবং রাসূলকে কটূক্তিকারীর ফাঁসি চাই’, ‘আবুল সরকারের ফাঁসি চাই’ স্লোগান দিতে দিতে নাজিম খান বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। মিছিল শেষে বাজারের প্রধান চত্বরে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশের মূল দাবি:
সমাবেশে বক্তারা বাউলশিল্পী আবুল সরকার কর্তৃক আল্লাহ, রাসূল (সাঃ) এবং ইসলামের পবিত্র বিষয়াদি নিয়ে করা কটূক্তির তীব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন, কোনো ধর্মপ্রাণ মুসলমান আল্লাহ ও তাঁর প্রেরিত রাসূলের বিরুদ্ধে এমন জঘন্য মন্তব্য মেনে নিতে পারে না। তাদের প্রধান দাবি ছিল—
বাউলশিল্পী আবুল সরকারের সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ ফাঁসি কার্যকর করা।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন ধৃষ্টতা দেখাতে না পারে, তার জন্য কঠোর আইন প্রয়োগ করা।
বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, আবুল সরকার গ্রেপ্তারের পরও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি আঘাতের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদের বহিঃপ্রকাশ। স্থানীয় জনসাধারণ, মসজিদের ইমাম, ওলামায়ে কেরাম এবং মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এই সমাবেশে অংশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সমাবেশ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়, যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অভিযুক্ত বাউলশিল্পী আবুল সরকারের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হয় এবং মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের প্রতিবাদকে যেন গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়।


