ঢাকাThursday , 20 November 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আমাদের পরিবার
  5. কৃষি বার্তা
  6. খেলাধুলা
  7. গনমাধ্যাম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ধর্ম
  12. প্রবাসের খবর
  13. ফ্যাশন
  14. বিনোদন
  15. বিশেষ প্রতিবেদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • সামুদ্রিক ‘হস্তি’ – ওয়ালরাস একটি ‘সামাজিক’ প্রাণী !

    admin
    November 20, 2025 9:56 pm
    Link Copied!

    লেখা – মহসিন মিয়াজী, ঢাকা।

    ওয়ালরাস (Walrus) এক ধরনের স্তন্যপায়ী সামুদ্রিক প্রাণী। এর বৈজ্ঞানিক নাম Odobenus rosmarus। এদের বাংলা প্রচলিত নাম – সিন্ধুঘোটক। এটি আর্কটিক মহাসাগরের বরফ-ঘেরা এলাকায় বাস করে। দুই ধরনের ওয়ালরাস রয়েছে। এরা হলো আটলান্টিক ওয়ালরাস ও প্যাসিফিক ওয়ালরাস। এদের বাস উত্তর মেরুর কাছাকাছি সাইবেরিয়া, আলাস্কা, গ্রিনল্যান্ড ও এলসমেয়ার এলাকায়।

    ওয়ালরাস বা সিন্ধুঘোটকের মুখে হাতির দাঁতের মতো দীর্ঘ দাঁত রয়েছে। সামনে একজোড়া কর্তন দাঁত, অনেকটা হাতির দাঁতের মতো দেখতে, যার দৈর্ঘ্য ১ মিটার (৩ ফুট পর্যন্ত হতে পারে)। ওয়ালরাসের দাঁত এদের শিকারের কাজে লাগে।এছাড়া বরফের গা বেয়ে চলাচল করার জন্য এই দাঁত আংটা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

    এছাড়া এদের মুখে গোঁফ আছে। পুরুষ প্রজাতি মেয়ে প্রজাতির চেয়ে লম্বা হয়। পূর্ণবয়স্ক একেকটি ওয়ালরাস প্রায় তিন মিটার (১০ ফুট) লম্বাা হয়।

    এদের দেহ মোটা থলথলে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় পুরুষ সিন্ধুঘোটকের ওজন ৪,৫০০ পাউন্ড (২,০০০ কিলোগ্রাম) পর্যন্ত হয়। ফ্লিপার-পদ (pinniped) প্রাণীদের মধ্যে কেবল হস্তি সীলমাছের ওজনই সিন্ধুঘোটকের চাইতে বেশি।

    সিন্ধুঘোটক অগভীর সমূদ্রে বাস করে। জীবনের অধিকাংশ সময় এরা সমুদ্রের বরফের মধ্যে কাটায়। এদের প্রধান খাদ্য হলো বেন্থিক শামুক ও ঝিনুক। এরা দীর্ঘজীবী এবং সামাজিক প্রাণী।

    ওয়ালরাসরা সবসময় দল বেঁধে চলাফেরা করে। প্রতি দলে ১০০টিরও বেশি ওয়ালরাস থাকে। সমুদ্রের তীরের কাছাকাছি এদের বেশি দেখতে পাওয়া যায় আর নাক দিয়ে বের হওয়া গোঙানির শব্দ অনেক দূর থেকে শোনা যায়। স্বভাবে এরা নিরীহ। তবে দলের কেউ বিপদে পড়লে বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। মেরু ভালুক এদের প্রধান শত্রু।

    উত্তর মেরুর কাছাকাছি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবন ও খাদ্যাভ্যাসে সিন্ধুঘোটকের গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। দীর্ঘকাল ধরেই সেখানকার আদিবাসীরা এদের শিকার করে আসছে। এদের মাংস, চর্বি, দাঁত, এবং অস্থিকে আদিবাসীরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে। ১৯ ও ২০ শতকে চর্বি ও দাঁতের জন্য এদের বাণিজ্যিকভাবে শিকার করা শুরু হয়েছিলো। ফলে সেসময় সিন্ধুঘোটকের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ওয়ালরাসের সংখ্যা বাড়লেও আটলান্টিক ও লাপ্তেভ সাগরে সিন্ধুঘোটকের সংখ্যা এখনও বাড়েনি।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST