এম কে হাসান, জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে নানা সীমাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় অনেক পর্যটকই নতুন বিকল্প খুঁজছেন। ঠিক সেই সময়ে আলোচনায় এসেছে কক্সবাজারের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালী উপজেলার এর দু’টি আলোচিত স্থান—সোনাদিয়া দ্বীপ এবং মাতারবাড়ী উন্নয়ন এলাকা। প্রকৃতি ও আধুনিক উন্নয়নের অনন্য মিশ্রণে এই অঞ্চল এখন দ্রুতই পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হচ্ছে।
*সোনাদিয়া*- নীরব প্রকৃতির স্বর্গ
মহেশখালীর পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত সোনাদিয়া দ্বীপ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটকদের নতুন গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
দ্বীপটির আকর্ষণ:- বিস্তৃত বালুচর, লেগুন ও সাগরধারা, হাজারো পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল, দূষণ মুক্ত, নিরিবিলি দ্বীপ প্রকৃতি, নৌভ্রমণ, ক্যাম্পিং ও হোমস্টে সুবিধা
*মাতারবাড়ী*- গভীর সমুদ্র বন্দরের শিল্প ভিত্তিক ট্যুরিজম
মাতারবাড়ীতে চলছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজ সঙ্গে রয়েছে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও আধুনিক লজিস্টিক সুবিধা। দ্রুত উন্নয়ন, আধুনিক সড়কপথ, জেটি ও চলমান মেগা প্রজেক্ট দেখে অনেকেই এখন “ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরিজম” এর অভিজ্ঞতা নিতে ভ্রমণ করছেন এই এলাকায়।
সহজ যোগাযোগে বাড়ছে ভ্রমণচাহিদা:- কম খরচে স্বল্প সময়ে যাতায়াত, স্পিডবোট ও ট্রলারে সহজ নৌপথ, পাহাড়, সমুদ্র, চর ও শিল্প এলাকার ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা
পর্যটন উদ্যোক্তাদের দাবি- পরিকল্পিত বিনিয়োগ ও পরিবেশ রক্ষা নিশ্চিত করা গেলে সোনাদিয়া–মাতারবাড়ী অঞ্চল বাংলাদেশের নতুন ইকো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল পর্যটন হাব হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
শেষ কথা:- সেন্টমার্টিনে যেতে না পারলে মন খারাপ করার কারণ নেই- মহেশখালীর সোনাদিয়া ও মাতারবাড়ী ভ্রমণ করলে প্রকৃতি, নীরবতা এবং উন্নয়ন—সব কিছুর নতুন রূপে নিজেকে আবিষ্কার করতে পারবেন যেকোনো ভ্রমণ পিপাসু।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: সাইফুল ইসলাম|
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১৮৮, এম জে টাওয়ার (৮ম তলা), ফকিরাপুল (বড় মসজিদের পাশে) মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। মোবাইল:- ০১৯১৯৯২০০৫৮, ০১৮১৯৯২০০৫৮, ই মেইল: gomtirbarta@gmail.com