মোঃতানজিলুল ইসলাম লাইক, রাজশাহী//
রাজশাহী মহানগরে স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্যতম নেতা এ এম আতিকুর রহমান (প্রান্ত)–এর ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় দলের নেতা–কর্মীরা আহত হলেও হামলাকারীদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। দ্রুত গ্রেফতার নিশ্চিত না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিকেলে রাজপাড়া এলাকায় ব্যানার–ফেস্টুন হাতে সমবেত হয়ে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মানববন্ধনে মিলিত হয়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন—রাজপাড়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শিশির, যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য শরিফুল ইসলাম সোহান, কমিটির সদস্য শাহীন, সজিব, হিমেল, পাপন, পিন্টু, সজল, রশিদ, হারুন, বোয়ালিয়া থানা পশ্চিম স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মনিরুজ্জামান শান্ত, শাহ মখদুম থানা বিএনপির আহ্বায়ক সুমন সরদার, মহানগর যুবদলের অন্যতম সদস্য টোকেন এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের মনজু রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।
বক্তারা বলেন—প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। প্রশাসনের নীরবতায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দ্রুত গ্রেফতার নিশ্চিত না হলে রাজশাহী মহানগরে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়— দীর্ঘদিন ধরে শিহাব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক হিসাব দিচ্ছিলেন না। তিনি নানা অজুহাতে হিসাব প্রদানে গড়িমসি করেন। এর ফলে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল এবং প্রয়োজনীয় ব্যয় বাবদ সংকট দেখা দেয়। পার্টনারদের চাপের মুখে তিনি হিসাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় অসন্তোষ দেখা দেয়।
পরবর্তীতে বিষয়টি সমাধানে চাপ প্রয়োগ করা হলে শিহাবের নির্দেশে গত ০৩ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজপাড়া থানাধীন লক্ষীপুর শেরশাহ রোডে অবস্থিত রাজশাহী জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেয় একদল সশস্ত্র ব্যক্তি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের পার্টনার মো. শামীম আহম্মেদ–এর ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ১৪ জন নামীয় ও ৩০–৪০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি। তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করা হয়। পরে সহযোগীরা তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে—
হামলাকারীরা হাসপাতালের ক্যাশ থেকে ২০ লাখ টাকা, কর্মচারী প্রান্ত–এর মানিব্যাগে থাকা ১ লাখ টাকা, গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও নগদ ১৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩৭৯/৩০৭/৫/৩০ ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন— হামলার ঘটনা প্রমাণিত; তারপরও অভিযুক্তরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজপাড়া থানার অফিসার–ইন–চার্জ (ওসি) (নাম) বলেন—ঘটনার বিষয়ে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।
তিনি আরও জানান,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য–উপাত্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
স্বেচ্ছাসেবক দল বলছে—হামলাকারীরা দ্রুত গ্রেফতার না হলে রাজশাহীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।


