মোসা বেবিয়ারা খাতুন শিবগঞ্জ(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)
প্রতিবন্ধী স্বামীর মৃত্যুর সোয়া দুই বছরও পর ব্যাংকb এশিয়ার গাফলতির কারণে ভাতা বাবদ ১৫৩৯৩ টাকা উত্তোলন করতে না পেরে চরম হয়রানীর শিকার হয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদ সংগৃহিত সমস্ত কাগজপত্র ব্যাংক এশিয়া রানীহাট্টি শাখায় জমা দিয়ে হিসাব খুলা হয়েছে। নং ১০৮৩৪৭০২৮০৯৭১। ওই সময় ব্যাংক এশিয়ার মহিলা কর্মকর্তা সোনিয়া খাতুন যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে হিসাব নম্বর খুললেও কোন রিসিভ দেননি। সোনিয়া খাতুনের নির্দেশ মত গত দেড় মাস ওই শাখায় ঘুরাঘুরির পর সোনিয়া খাতুন কোন সমাধান না দেয়ায় অবেশেষে একই শাখার কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিক আবারো সমস্ত কাগজ পত্র কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে গত ৩১ অক্টোবর টাকা উত্তোলনের ডেকে আবারো ফেরত পাঠান।কান্নাজড়িত কন্ঠে কথাগুলো বললেন মনাকষা অসহায় বিধাব পারভিন। তিনি জানান মৃত স্বামীর টাকা পাওয়ার আশায় এভাবে ঘুরাঘুরি করতে গিয়ে শুধু হয়রানীই হয়নি, আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। একই কথা বললেন বললেন প্রতিবন্ধী সুফিয়া খাতুন্ তিনি জানান ২০২১সালে আমার ভাতা বই পেলেও অনেক ঘুরাঘুরির পর চলতি বছরে জনৈক অফিসারের হস্তক্ষেপে টাকা উত্তোলন করতে পেরেছি।একই ইউনিয়নের জিনিয়ারা বেগম (৭৫)জানান শেষ বয়সে বয়স্ব ভাতা উত্তোলন করতে গিয়ে বার বার হেনস্ত হচ্ছি। শুধু মনাকষার এ তিন জনই নয়।উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভার সরজমিনে অনুসন্ধান করে জানা গেছে শুধু শাহাবাজপুর ইউনিয়নেই প্রায় শতাধিক সহ সারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শত শত মৃত ব্যক্তিদের নমনীরা প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন করতে না পেরে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। তাদের সবার একই ভাষ্য ব্যাংক এশিয়ার লোকজন আমাদের টাকা না দিয়ে শুধু হয়রানী করলে আমরা কোথাও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। অন্যদিকে বয়স্ব,বিধবা,স্বামী পরিত্যক্ত সহ ব্যাংক এশিয়ার অধিনে হাজার হাজার হিসাব নম্বরের টাকা উত্তোলনে একাধিকবার হয়রনী শিকার হচ্ছে ভুক্তভোগীরা। তারা বলছেন শত অনুরোধ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যানগণের ভাষ্য ব্যাংক এশিয়া ভুক্তভোগীদের হয়রারনী করলেও আমাদের কিছু করনীয় নেই। এটি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের করণীয়। অন্যদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা অফিষার নুরুল ইসলাম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমাজ সেবা অফিসের উপপরিচালক উম্মে কুলসুম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আমাদের দায়িত্ব হলো কাগজ পত্রে ব্যবস্থা করে দেয়া। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোন অবহেলা নেই। কিন্তু ব্যাংক এশিয়াকে বার বার অনুরোধ করেও তারা কোন গুরুত্ব না দিয়ে শুধু টালবাহনা করছে। তবে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করে নতুন করে আর ব্যাংক এশিয়ার কোন হিসাব না খুলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি দ্রæত ভুক্তভোগীদের হয়রানী বন্ধ হবে। শিবগঞ্জ থানার দায়িত্বে থাকা ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম হয়রানীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমরা সাধ্য অনুযায়ী ভুক্তভোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে ব্যাংক এশিয়ার জনবল সংকট থাকার কারণে কিছুটা সমস্য হচ্ছে। যা শীঘ্রই সমাধান হয়ে যাব্।ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:আজাহার আলি বলেন,ব্যাংক এশিয়ার দ্বারা ভুক্তভোগীদের এ ধরনের হয়রানী করার কারণে নতুন কোন হিসাব নম্বর ব্যাংক এশিয়ায় খুলা হবে না এবং যে গুলো খুলা আছে, বিশেষ করে মুত ব্যক্তিদের ভাতা নমনীদের মাধ্যমে নতুন করে হিসাব নম্বর খুলে টাকা উত্তোলনে ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা করা হবে।


