মোহাম্মদ সিরাজুল মনির চট্টগ্রাম থেকে//
পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরেও এখনো ঘুম ভাঙেনি বাংলাদেশের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। দীর্ঘ এক মাস পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কালুরঘাট রেলওয়ে সেতুর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করেনি। এতে এক মাস ধরে সন্ধ্যাকালীন সময়ে অন্ধকারে রয়েছে কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু।
জানা যায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উপর থাকা কালুরঘাট রেলওয়ে সেতুর প্রধান বিদ্যুৎ লাইনের তার এবং ভ্লাব চুরি করে নিয়ে যায় সঙ্ঘবদ্ধ চোরের দল। এতে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে সেতুর বিদ্যুৎ লাইন। চুরি হওয়ার এক মাস পার হওয়ার পরেও এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন পুনরায় স্থাপন করে চালুর ব্যবস্থা করেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকা গুলোতে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরেও টনক নরনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। এতে সেতু দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন এবং সাধারণ পথচারীরা অন্ধকারে পারাপার হওয়ার কারণে যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার গামী রাতে চলাচল গাড়ি ট্রেনগুলো চলাচলের সময় সাধারণ পথচারীরা ভয়াবহ ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে সেতুর সাথে থাকা ওয়াক ওয়ে দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ পথচারীরা সন্ধ্যাকালীন সময়ে ভোগান্তিতে পরে যাচ্ছে। সেতুর কয়েকটি লাইট ছাড়া বেশিরভাগ লাইক অন্ধকার হয়ে থাকার কারণে সাধারণ পথচারীরা চলাচল করতে পারছে না এতে যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে পথচারীরা
সেতুর দুই প্রান্তে থাকা লাইনম্যান জানান তার চুরি হওয়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে কিন্তু কি কারনে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার করা হচ্ছে না তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের এক কর্মকর্তা বলেন কালুরঘাট রেলওয়ে সেতুর তার চুরি হওয়ার ঘটনাটি অফিসিয়াল ভাবে তারা অবগত হয়েছেন এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তারা খুব দ্রুত সেতুর বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করে তা সচল করার ব্যবস্থা করবে।


