ঢাকাSaturday , 6 September 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আমাদের পরিবার
  5. কৃষি বার্তা
  6. খেলাধুলা
  7. গনমাধ্যাম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ধর্ম
  12. প্রবাসের খবর
  13. ফ্যাশন
  14. বিনোদন
  15. বিশেষ প্রতিবেদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • কুড়িগ্রাম সাধারণ পাঠাগারের দখলদারিত্ব বন্ধে জেলা প্রশাসককে ১৯ সংগঠনের স্মারকলিপি

    admin
    September 6, 2025 10:32 am
    Link Copied!

    মোঃ জাহিদ হাসান, রাজারহাট(কুড়িগ্রাম)থে‌কে;

    অর্ধশত বছরের ঐতিহ্যবাহী কুড়িগ্রাম সাধারণ পাঠাগারের দখলদারিত্ব, অনিয়ম ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে কুড়িগ্রামের ১৯ টি সাংস্কৃতিক, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও নাগরিক সংগঠন। সংগঠনগুলোর অভিযোগ, ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পাঠাগার আজ আর পাঠাগার নেই—এটি রাজনৈতিক প্রভাব ও ব্যক্তিস্বার্থে ব্যক্তিগত রিডিং রুম ও কোচিং সেন্টারে পরিণত হয়েছে। ফলে জেলার সাধারণ পাঠক ও হাজারো শিক্ষার্থী এ পাঠাগারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

    স্মারকলিপিতে জানানো হয়, ২০১৬ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক নুরুল আমিনের উদ্যোগে পাঠাগারের ভেতরে চাকরির কোচিং কার্যক্রম শুরু হয়। ধীরে ধীরে পুরো পাঠাগার কোচিং সেন্টারের দখলে চলে যায় এবং বর্তমানে সপ্তাহের সাত দিনই কোচিং চলে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে পাঠাগারের দোতলার একটি পরিত্যক্ত রুমে পাঠচক্র, শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আয়োজন শুরু হয়, যার নাম দেওয়া হয় “কুড়িগ্রাম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র”। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জেলা প্রশাসকের লিখিত অনুমতিতেই এ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক রূপ পায়। কিন্তু চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর রাতে স্বঘোষিত এনসিপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক রাজ ও পাঠাগারের কেয়ারটেকার মাসুদের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা তালা ভেঙে এ কেন্দ্র দখল করে নেয়।

    সংগঠনগুলোর দাবি, বর্তমানে পাঠাগারে নিয়মবহির্ভূতভাবে ব্যক্তিগত বই ও চাকরির গাইড স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। টেবিল-চেয়ার ভাগ করে ব্যক্তিগত নামে দখল তৈরি করা হয়েছে। পাঠাগারের ভেতরে ব্যক্তিগত টেবিল পর্যন্ত আনা হয়েছে। অজস্র প্রাচীন ও অমূল্য বই অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বুকশেলফ ধুলো ও মাকড়সার জালে ঢেকে আছে। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো সাধারণ পাঠক ও শিক্ষার্থীদের প্রবেশ কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি অর্থে পরিচালিত এ পাঠাগারকে কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদের সম্পত্তি মনে করে ব্যবহার করছে, যা সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগতভাবে জেলার জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও পাঠাগারের পদাধিকার সভাপতি বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়—পাঠাগারের অবৈধ দখল অবিলম্বে উচ্ছেদ করতে হবে। কোচিং কার্যক্রম ও ব্যক্তিগত রিডিং রুম বন্ধ করতে হবে। অমূল্য বই সংরক্ষণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে। পাঠাগারকে সাধারণ জনগণ, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি দোতলার কক্ষ পুনরায় “কুড়িগ্রাম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র”-এর কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। স্মারকলিপিতে জেলা প্রশাসককে উদ্দেশ্য করে বলা হয়—তিনি পদাধিকার বলে পাঠাগারের সভাপতি। সুতরাং অনিয়ম ও দখলদারিত্ব বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া তাঁর দায়িত্ব। অন্যথায় সচেতন নাগরিক সমাজ নীরব থাকবে না।

    হিজিবিজি , কুড়িগ্রাম সাহিত্যসভা , অনুশীলন, কুড়িগ্রাম বিজ্ঞান ক্লাব, ডিবেট কুড়িগ্রাম, পরিবেশ বীক্ষণ, সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন, প্রীতিলতা ব্রিগেড, পদ্মকলি খেলাঘর আসর, এনসিটিএফ, ওয়াইসিএস, প্রথম আলো বন্ধুসভা, সারথী, জুভেন্স রাইট নেট, চর মিউজিয়াম, জেএফসিএলআর, ইয়োথনেট, বসুন্ধরা শুভ সংঘ ও এসিএমও—এই ১৯টি সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

    সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, “কুড়িগ্রাম সাধারণ পাঠাগারকে বাঁচানো মানে কুড়িগ্রামের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যৎকে বাঁচানো। আমরা অবিলম্বে দখলদারিত্বের অবসান ও পাঠাগারের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার চাই।”

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST