সামিনুর ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
জলঢাকায় সন্ত্রাসী আলম ও রহিম বাহিনীর গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন স্থান জলঢাকা জিরো পয়েন্ট মোড় গত ৭ অক্টোবর গোলমুন্ডা ইউনিয়নে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে অতর্কিত হামলার শিকার হন সংবাদ ও মানবাধিকার কর্মী আল-আমিন ইসলাম পরে স্থানীয় সচেতন নাগরিক ও প্রশাসন উদ্ধার করে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকলে চতুর্থ দিন এসে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন পরে রাতে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। আসামি হন ১১ জন নামিও, ও অজ্ঞাত নামা হয় ৮ জন আজকে দীর্ঘ ২২ দিন হয়ে গেলে কোন আসামি গ্রেফতার হয় না। তাই সচেতন নাগরিক ও স্থানীয় সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীরা এই মানববন্ধন করেন। উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলার আসকের সভাপতি নির্যাতিত সাংবাদিক আলামিন ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সাবু, সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক মোনা ইসলাম, ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, রোকনুজ্জামান,সামিনুর রহমান, রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি এন আই মানিক, শ্যামল চন্দ্র রায়, কামরুজ্জামান, খোকনুজ্জামান খোকন, সহ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা আরো উপস্থিত থাকেন। এ সময় বক্তব্যে সংবাদ ও মানবাধিকার কর্মী জামিয়া রহমান বলেন একজন সাংবাদিক প্রশাসনের সামনেই নির্যাতিত হয় এবং মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা হয় সেই আসামি গুলো কিভাবে এখনো এলাকায় এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করে থানা পুলিশ কি এগুলো চোখে দেখে না আমরা তাই চব্বিশ ঘন্টা আল্টিমেটাম দিলাম যদি আলম ও তার সহযোগীরা গ্রেফতার না হয় আমরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলবো। আজকের মানববন্ধনের প্রধান সমন্বয়ক সংবাদ ও মানবাধিকার কর্মী আল আমিন ইসলাম বলেন আমাকে যারা হামলা করল আজকে দীর্ঘদিন হয়ে গেল তারা তো গ্রেফতার হলো না বরঞ্চ তারা নাকি আবার জামিন হয়ে এসেছে কি লজ্জার বিষয়। আমি দ্রুত এই মামলার আয়ু সুশান্ত রায় কে প্রত্যাহারের দাবি জানাই কারণ তিনি আসামি ধরতে অক্ষম। এবং আসকের নীলফামারী জেলার সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সাবু বলেন আমি এরকম কোন দিন দেখিনি আলামিন ভাই আমাদের সামনেই নির্যাতিত হলো প্রশাসন দাঁড়িয়ে থেকে দেখলো এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নিলো না এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই অবিলম্বে সুশান্ত রায় এই মামলার আয়ু তার আমরা প্রত্যাহার চাই। এবং আলম বাহিনীর দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করি। তবে এ বিষয়ে জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতা করেছে বলে জানান নির্যাতিত সংবাদ কর্মী আল আমিন ইসলাম। এবং বক্তারা তার বক্তব্য বলেন সংবাদ ও মানবাধিকার কর্মী নাহিদ হাসানকে পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ঘটনায় তাকে ১৫ নাম্বার আসামি করা হয় নাহিদকে এই জায়গায় জড়িত করে তারাও প্রমাণ করে দিলো যে সত্য তুলে ধরতে গিয়ে নাহিদ আসামী হয়। এবং মানববন্ধন থেকে সকলের এটা প্রতিবাদ এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে নাইটে নাম প্রত্যাহার করার দাবি জানায়।


