ঢাকাWednesday , 19 November 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আমাদের পরিবার
  5. কৃষি বার্তা
  6. খেলাধুলা
  7. গনমাধ্যাম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ধর্ম
  12. প্রবাসের খবর
  13. ফ্যাশন
  14. বিনোদন
  15. বিশেষ প্রতিবেদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • জুলাই জাতীয় সনদ: রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক ঐক্যের নতুন দিকনির্দেশনা

    admin
    November 19, 2025 11:42 am
    Link Copied!

    ফাহিম আহমেদ
    শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

    ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ কে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে। গত ১৭ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা এ সনদে স্বাক্ষর করেন। একই সঙ্গে স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরাও। এতে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে জুলাই সনদ কী এবং কেন এটি প্রণয়ন করা হলো?

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ হলো একটি সমঝোতাপ্রসূত রাজনৈতিক দলিল, যেখানে রাষ্ট্রীয় কাঠামো, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ও ক্ষমতার প্রয়োগ, এই পাঁচটি বড় খাতে ব্যাপক সংস্কারের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। একটি নতুন, জবাবদিহিমূলক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোরা লক্ষ্যে কমিশন গঠিত হয়।

    সনদ প্রণয়নের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই দলিল তৈরি করে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম ধাপে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ ও বিচার বিভাগ এই ছয়টি বিষয়ে পৃথক কমিশন গঠন করা হয়। তাদের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফায় আলোচনা চালায় ঐকমত্য কমিশন।

    মোট ৬৩টি দলের সঙ্গে (প্রথম পর্যায়ে ৩৩টি, পরে আরও ৩০টি) আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়। তবে জাতীয় পার্টিকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ উল্লেখ করে আলোচনায় রাখা হয়নি। দীর্ঘ আলোচনার ফল হিসেবে ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য গড়ে ওঠে। সেই প্রস্তাবগুলোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয় ‘জুলাই জাতীয় সনদ’। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতেও কোনো দল চাইলে সনদে সই করতে পারবে।

    এ পর্যন্ত বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ মোট ২৫টি রাজনৈতিক দল/জোট সনদে স্বাক্ষর করেছে। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও চারটি বাম দল এতে সই করেনি। গতকাল জাতীয় শ্রমিক শক্তির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, “জাতীয় ঐকমত্যের নামে কিছু দল জনগণকে প্রতারণা করে এক টুকরো কাগজে সই করছে।” অন্যদিকে বাম দলগুলো জানিয়েছে—সংশোধিত খসড়া না পাওয়া পর্যন্ত তারা সনদে স্বাক্ষর দেবে না।

    প্রকাশিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা’তে সইকারীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে জনগণের জীবনদান, ত্যাগ ও আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান জানিয়ে এ সনদ সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। সনদটি সংবিধানে উপযুক্তভাবে সংযুক্ত করা এবং এর বৈধতা নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন না তোলারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

    অঙ্গীকারনামায় ২০১৪–২০২৪ সময়কালের গুম, খুন, নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পরিবারকে সহায়তা প্রদান, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ছয়টি খাতে সংস্কার বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন, সংযোজন বা নতুন আইন প্রণয়ন।

    ঐকমত্য কমিশনের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো আগামী সংসদ প্রথম ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে বাধ্য থাকতে বলা এই কমিশনের সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি।

    রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন প্রশ্ন, এই সনদ কি সত্যিই দেশের সামনে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে, নাকি এটি কেবল আরেকটি রাজনৈতিক দলিল হয়ে থাকবে? সময়ই দেবে সেই উত্তর।

    ফাহিম আহমেদ
    শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
    বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST